Friday, December 18, 2015

ডালিমে রয়েছে তারুণ্য ধরে রাখার উপাদান

ডালিমের নানা পুষ্টিগুণের কথা জানা গেলেও এ গুণটির কথা অনেকেই জানতেন না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ডালিম তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ডালিম আলঝেইমার্সের মতো মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতেও এটি কাজ করে। সম্প্রতি গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, এটি শরীর ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডালিম বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। অর্থাৎ দেহের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এ ফলটি।
এ বিষয়টি জানা গেছে মার্কিন এক গবেসণায়। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, ডালিম আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ডালিমের একটি উপাদান হলো উরোলিথিনস। এ উপাদানটি হজমের সময় ইলাজিট্যানিনস-এর সঙ্গে একত্রে পেটের উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে কাজ করে। গবেষকরা পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, ডালিমের স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়ার জন্য এটি তাজা অবস্থায় খাওয়া উচিত। তাজা জুস বা সরাসরিও এটি খাওয়া যাবে। এ বিষয়ে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এসিএস কেমিকাল নিউরোসায়েন্স জার্নালে।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/61331#sthash.0QEIN0M2.dpuf
ডালিমের নানা পুষ্টিগুণের কথা জানা গেলেও এ গুণটির কথা অনেকেই জানতেন না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ডালিম তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ডালিম আলঝেইমার্সের মতো মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতেও এটি কাজ করে। সম্প্রতি গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, এটি শরীর ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডালিম বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। অর্থাৎ দেহের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এ ফলটি।
এ বিষয়টি জানা গেছে মার্কিন এক গবেসণায়। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, ডালিম আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ডালিমের একটি উপাদান হলো উরোলিথিনস। এ উপাদানটি হজমের সময় ইলাজিট্যানিনস-এর সঙ্গে একত্রে পেটের উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে কাজ করে। গবেষকরা পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, ডালিমের স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়ার জন্য এটি তাজা অবস্থায় খাওয়া উচিত। তাজা জুস বা সরাসরিও এটি খাওয়া যাবে। এ বিষয়ে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এসিএস কেমিকাল নিউরোসায়েন্স জার্নালে।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/61331#sthash.0QEIN0M2.dpuf

Sunday, November 8, 2015

চার খানকে নিয়ে যা বললেন কারিনা

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চার খান শাহরুখ, সালমান, আমির এবং সাইফ আলীর সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করার সৌভাগ্য খুব কম নায়িকার হয়েছে। তবে এ সৌভাগ্যে নিজেকে একধাপ এগিয়ে রেখেছেন নবাব পুত্রবধূ কারিনা কাপুর খান।
চার খানের সঙ্গে একটি নয় পরপর কয়েকটি ছবি করে নিজের অভিনয়ের দক্ষতা ও উচ্চতা বলিপাড়াকে অনেক অগে জানান দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে বেবো বলিউডের চার খানের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
‘বডি গার্ড’ খ্যাত এ নায়িকা বলেন, আমির খানের সঙ্গে কাজ করতে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আমিরের সঙ্গে ‘থ্রি ইডিয়টস’ এবং ‘তালাশ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি।
আর সলমান খানের সঙ্গে আমার জুটির রসায়নের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না সেটি দর্শকদের ভালোবাসায় বুঝেছি। সিনে পর্দায় আমার আর সাইফের জুটি ফ্লপ হলেও তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই, বাস্তব জীবনে আমার আর সাইফের জুটি দুর্দান্ত হিট।
কারিনার কথায়, শাহরুখ খান তো দুর্দান্ত অভিনেতা। তার সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে অনেক উচ্চতার আসনে বসাতে পেরেছি। আর সাইফ আলী খান, সে তো আমার ঘরের লোক। সাইফের সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধে ‘কুরবান’ এবং ‘এজেন্ট বিনোদ’এর মতো অসাধারণ ছবিও করেছি। আসলে বলিউডের চার খানই খুব ভালো অভিনেতা।
বরাবরই ছবির চরিত্র চিত্রায়ণে নিজের আবেগকে কাজে লাগিয়ে অভিনয়কে অন্য মাত্রা দিতে পারদর্শী কারিনা। জানালেন, পরিচালক চরিত্রটাকে যেভাবে দেখতে চান, আমি নিজের উপলব্ধি দিয়ে সেভাবে চরিত্রটাকে সাজাই।
চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য আলাদা কোনো কিছু করা হয় না কারিনার। তবে শট দেওয়ার আগে নিজের আবেগ দিয়ে চরিত্রটাকে বুঝে নিয়ে চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
কারিনা বলেন, কাজের প্রতি প্যাশন নিয়েই আমি কাজ করি। শুধু ফিল্ম নয়, জীবনের প্রতিটি কাজই আমি অত্যন্ত আবেগ দিয়ে করি। আর এই আবেগটা আমার প্রতিটি কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। যেটা ছবির ক্ষেত্রে দর্শকদেরও ভালো লাগে বলে আমার ধারণা। কাজের প্রতি প্যাশন এবং আবেগই আমাকে এখনো এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকিয়ে রেখেছে।
নিজেই জীবনের সেরা ছবির কথা জানাতে গেলে “চামেলি’ আমার জীবনের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। তারপর ‘ওমকারা’ এবং ‘কুরবান’ ছবিগুলোও আমার খুব প্রিয় ছবি।
তবে বলিউডের মাটিতে নিজের আধিপত্যকে ধরে রাখতে বরাবরই কারিনা কমার্শিয়াল এবং ভিন্ন ধারার ছবির মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করেন। কারিনা বর্তমানে তার আপকামিং সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

৩ টাকার বিদ্যুতে যে বাইক চলে সারাদিন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মনোয়ারুল ইসলাম মুন্নার আবিষ্কৃত ‘গ্যালাক্সি বাইক’ অবশেষে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তাকে ৪ লাখ টাকার অনুদানও দেওয়া হয়েছে। সমপরিমাণ টাকা আগামীতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই নব উদ্যমে অধিকতর গবেষণা শুরু করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী মুন্না।
সীতাকুণ্ড উপজেলা গেইট সংলগ্ন পেশকারপাড়ার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের ছেলে কলেজপড়-য়া মুন্নার উদ্ভাবনী মেধা সম্পর্কে এলাকাবাসী কমবেশি জানেন। তবে তার মোটর সাইকেলটি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। মাত্র ৩ টাকার বিদ্যুৎ খরচে এ গাড়িটি চলে সারাদিন। এতে তেল গ্যাসের দরকার পড়ে না। মুন্নার এই প্রযুক্তি বিস্মিত করেছে বুয়েটের প্রকৌশলীদেরও।
বুয়েটের প্রকৌশলীরা মুন্নার গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলের ডায়াগ্রাম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাংলাদেশের বাজারের জন্য এ ধরনের মোটর সাইকেল প্রয়োজন আছে বলে অভিমত দিলে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তাকে উৎসাহিত করতে ৮ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করে।
মুন্না নিজের আবিষ্কৃত মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন ‘গ্যালাক্সি বাইক’। তার ভাষায়, ‘এই মোটর সাইকেলটির বিশেষত্ব হলো এটি তেল গ্যাস ছাড়াই চলে। শুধু চার্জের প্রয়োজন হয়। গাড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। অর্থাৎ ৬০ ভোল্টের ব্যাটারিতে মাত্র ৩ ঘণ্টা চার্জ দিলেই মোটর বাইকটি চলবে পুরোদিন। এতে তিন টাকার বিদ্যুৎ খরচ হবে। একবার চার্জে কমপক্ষে ৬০ কি.মি. চলবে এই গাড়ি।’
মুন্না জানান, তার এই বাইক তৈরিতে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ পড়েছে। তিনি মনে করেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা হলে এই বাইক মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বাজারজাত করা যাবে।
মুন্না বলেন, যাতায়াত খরচ কমানোর চিন্তা থেকেই এই বাইক তৈরির চিন্তা তার মাথায় আসে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে মুন্না মোটর সাইকেলটি বানাতে সক্ষম হন। প্রথমদিকে তার মোটর সাইকেলে একটি চেইনও লাগানো হয়। পরে আরো আধুনিক করার পর চেইনটি খুলে ফেলা হয়।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী মুন্না জানান, শুধু মটরসাইকেলই নয় মোবাইল কলে যন্ত্রপাতি স্টার্ট, মটর অটো স্টার্ট যন্ত্র, অটোমেটিক পানির ট্যাংক ভর্তিকরণ ও খালি করার যন্ত্রসহ ১৭টি প্রযুক্তি আবিষ্কার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

শিশুর-গায়ে-সরিষার-তেল-মাখা-কি-ঠিক


প্রশ্ন : নবজাতকের পরিচর্যা প্রত্যেক মায়ের জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যাঁরা নতুন মা হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে। নবজাতকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত?
প্রশ্ন : প্রথমেই যে প্রসঙ্গটি আসে, একটি বাচ্চা প্রসবের পর মায়ের খুব চিন্তা হয় বাচ্চা কী খাবে? খাওয়ার বিষয়টি প্রথমে বলতে চাই। প্রথমেই মায়ের শাল দুধ বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে ঘন ঘন দুধ খাওয়ালে খুব দ্রুত মায়ের দুধের উৎপাদন বাড়বে।
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ তেমনভাবে উৎপাদন হয় না। দুধ সেভাবে আসে না। তখনই আমাদের দেশে যে বিষয়টি হয়, বাইরের দুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। সে জন্য যেটা প্রয়োজন, সঠিক নিয়মে বারবার মায়ের দুধ যদি টানানো যায়, তাহলে দুধ আসবে। সে ক্ষেত্রে মায়ের মস্তিষ্কে একটি সংকেত যাবে দুধ তৈরি করার জন্য। প্রথমে এই সংকেত থাকে না। শিশু যখন দুধ চোষে, সে সময় মস্তিষ্কে সংকেত যায় এবং দুধ তৈরি হয়। তখন হতাশ হয়ে যাওয়া চলবে না।
অনেক সময় দেখা যায়, মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কিছু খাওয়ায়। মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। মায়ের শাল দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ মুখে মিসরি দিয়ে দেয় বা মধু দিয়ে দেয়; এটি আসলে ঠিক নয়। এতে শিশুর দুধ চোষার বিষয়টি কমে যায়। শিশুকে বারবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
প্রশ্ন : শাল দুধে প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম; সেটি সবাই জানি। এই শাল দুধ কখন আসবে এবং দেখে কীভাবে বোঝা যাবে এটি শাল দুধ?
উত্তর : শাল দুধ একটু হলুদ রঙের থাকবে, ঘন হবে। সেটিই প্রথম খাওয়াতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ আসতে থাকবে। পরে দেখা যাবে সাদা দুধটি চলে আসছে।
প্রশ্ন : নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধ প্রধান খাবার। তবে কখনো কখনো দেখা যায় তাকে হয়তো পানি বা বাড়তি কিছু দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন?
উত্তর : ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে শিশুর যে বন্ধন রয়েছে, এটিও ভালো হবে। এ ছাড়া জীবাণু থেকে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শিশু মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে পেয়ে থাকে।
প্রশ্ন : নবজাতকের প্রস্রাব-পায়খানার বিষয়টি নিয়ে মা-বাবারা খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুটি হয়তো ঘনঘন পায়খানা করছে। আসলে একটি নবজাতক বা একটি বাচ্চার কী রকম হারে প্রস্রাব-পায়খানা হওয়া উচিত?
উত্তর : যতবারই শিশু বুকের দুধ খাবে, ততবারই প্রস্রাব করবে। জন্মের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেহেতু কম দুধ পেয়ে থাকে, সেহেতু কম প্রস্রাব করতে পারে। এটি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। শিশু জন্মের পাঁচ দিন পর থেকে শিশু ১০ থেকে ১২ বার প্রস্রাব করে থাকে। পায়খানার বিষয়টিও তাই। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে পায়খানাটি হয়, সেটির রং কালো থাকে। একে সাধারণত মিকোনিয়াম বলে থাকি। এই মিকোনিয়াম সাধারণত দুই দিন পর থেকে হলুদাভ হয়। একেকটি শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম বিষয় থাকে। দেখা যায়, কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে, মায়ের দুধ যারা খায়, একবার দুধ খেল, একটু পায়খানা করল। একে সাধারণত গ্যাসট্রোকলিক রিফ্লেক্স বলি। এটি খুব স্বাভাবিক। অনেক মা খুব চিন্তিত থাকেন বিষয়টি নিয়ে। ভাবেন, সম্ভবত শিশুর ডায়রিয়া হয়ে গেছে। বিশেষ করে এক মাস বয়সে যখন এগুলো হয়।
শিশুদের মলত্যাগ করার প্রক্রিয়া একেকটি শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। যারা মায়ের দুধ খায়, তাদের এক রকম যারা; ফরমুলা দুধ যারা খায়, তাদের এক রকম। সাধারণত মায়ের দুধ যারা খায়, দেখা যায় কোনো কোনো শিশু ৮ থেকে ১০ বার করে পায়খানা করে। যতবার সে মায়ের দুধ খাবে, ততবারই সে পায়খানা করতে পারে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো শিশু সপ্তাহে একবার বা দুবার পায়খানা করে। এক মাস পর থেকে দেখা যায়, এই পরিবর্তনগুলো আসে। প্রথমে এই পরিবর্তনগুলো হয় না। পরে এই পরিবর্তনগুলো শুরু হতে থাকে। তখন মায়েরা চিন্তিত হয়ে যান, এক মাস ধরে তো শিশুটি নিয়মিত পায়খানা করত, এখন কেন এমন হচ্ছে? আসলে বলা যায়, বুকের দুধ কোনো শিশুর দ্রুত হজম হয়ে যায়, ফলে পায়খানা তৈরিও কম হয়। এবং শিশুরা পায়খানাও কম করে। সে ক্ষেত্রে সাত দিনে যদি একবার করে সেটাও স্বাভাবিক, আবার সাত দিনে যদি আট-দশবার করে সেটিও স্বাভাবিক। আবার অনেক শিশু দেখা যায়, দুই-তিন দিন পরপর পায়খানা করে, সেটিও স্বাভাবিক। এগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
প্রশ্ন : তাহলে চিন্তার বিষয় কখন হবে?
উত্তর : চিন্তা তখনই করবে, যখন একই ধরনের হয়তো পায়খানা করত হঠাৎ করে তার পরিমাণ বেশি হলো, পায়খানার রংটি হলুদ থেকে বাদামি বা লাল হয়ে যাচ্ছে। রক্ত আসছে পায়খানা থেকে। তখন তার আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, প্রস্রাব কয়বার করছে। পায়খানার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি প্রস্রাবও ঠিকমতো করে, তবে সেটা নিয়ে চিন্তা করব না। তবে যদি দেখি, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে বাচ্চার পানিশূন্যতা হচ্ছে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায় নবজাতকের গোসলের বিষয়টি নিয়ে অনেকে খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন, আসলে কখন গোসল করানো উচিত এবং কীভাবে করাতে হবে?
উত্তর : আসলে নাভিটি পড়তে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। বলা হয়, নাভিটা শুষ্ক রাখাই ভালো। তখন গোসল না করিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে। আমরা বলি, কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দেবেন। নাভির অংশটি যেন শুষ্ক থাকে, সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এর পর যখন নাভি পড়ে যাবে, তখন দেড় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে সপ্তাহে দুদিন গোসল করাবে। প্রতিদিন করানোর প্রয়োজন নেই। তিন দিন পরপর একদিন গোসল করবে। আর বাকি দিনগুলোতে গা মুছিয়ে দিতে হবে। শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। বাজারে যে বেবি শ্যাম্পু বা সাবান পাওয়া যায়, সেটি দিয়ে তাকে গোসল দিতে হবে।
এর পর আসে তেল দেওয়ার বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত বলে থাকি, শিশুর দেড় মাস হওয়ার আগে তেল না দেওয়াই ভালো। কারণ শিশুদের ত্বক পাতলা থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ হয়। এ সময় তেল দিলে অনেকের ক্ষেত্রে র‍্যাশ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলি, দেড় মাস পরে তাকে তেল, লোশন দেওয়া যাবে। গোসলের আগে তেল দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে হবে।
প্রশ্ন : আমরা আগে দেখতাম, মা-খালারা গোসলের পর সরিষার তেল গায়ে মেখে রোদে দিয়ে রাখতেন। শিশুকে সরিষার তেল বারবার দেওয়া খুব কি যৌক্তিক?
উত্তর : আসলে সরিষার তেল দিতে আমরা নিষেধ করি। কারণ, এটি খুব পুরু থাকে। এর জন্য র‍্যাশ হয়। বাচ্চার শরীর ময়লা হয়ে যায়। সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সরিষার তেলের ঝাঁজ বেশি। আমরা সাধারণত বলি, সরিষার তেল না দেওয়াই ভালো। যদি বেবি অয়েল দিই বা অলিভ অয়েল দিই, সেটা দেওয়া যাবে। তবে সেটাও দেড় মাসের পরে।
প্রশ্ন : একটা জিনিস আমরা দেখি, শিশুটির জন্মের পর খুব দ্রুত নানি-দাদিরা সাবান দিয়ে মেজে তার গোসল দিচ্ছে, সেটি আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : আসলে মায়ের শরীরে একটি সুরক্ষা দেওয়ার ফ্লুইড থাকে, যাকে এমনিওটিক ফ্লুইড বলি। এর পর তার ওপর আরেকটি লেয়ার থাকে, যাকে ভারনিক্স ক্যাসোসো বলে। সেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জন্মের ছয়-সাত দিন পর এটি এমনিতেই চলে যাবে। আস্তে আস্তে শিশু নড়াচড়া করতে শুরু করলে এটি পরিষ্কার হয়ে যায়। কাজেই একে ঘষে পরিষ্কার করলে রোগ-জীবাণুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এটা না করাই ভালো।
প্রশ্ন : মধুর মতো মিষ্টি যাতে হয় তার কণ্ঠস্বর, এ জন্য মধু দিয়ে খাবার শুরু করে। এটি কি খুব বেশি জরুরি?
উত্তর : মধু না দিলেই ভালো।
প্রশ্ন : নবজাতকের নাভির পরিচর্যার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে জোর দেওয়া দরকার?
উত্তর : নাভি শুষ্ক রাখতে হবে। নাভি ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শুকিয়ে পড়ে যাবে। আগে বলা হতো, স্যাভলন বা অ্যান্টিস্যাপটিক এগুলো ব্যবহারের জন্য। তবে এখন বলা হয়, কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো কারণে নাভির চারদিকে লাল হয়ে যায়, নাভি ফুলে যায় তখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আরেকটি স্বাভাবিক বিষয় হলো, অনেক শিশুর নাভি ফোলা থাকে, তখন মায়েরা চিন্তায় পড়ে যান। নাভি কেন ফুলে যাচ্ছে? এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এক বছর বয়স হতে হতে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এ ছাড়া দেখা যায়, তিন থেকে চার দিন বয়সে অনেক শিশুর বিলুরুবিনের মাত্রাটা বেড়ে যায়, জন্ডিস হয়। অনেক মা এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। এটা আসলে খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটা বড়দের জন্ডিসের মতো নয় যে চিন্তা করতে হবে।
প্রশ্ন : বিলুরুবিনটা কত বেশি হলে সেটি চিন্তার বিষয়?
উত্তর : সব শিশুরই জন্ডিস হবে, তবে সেটি কম আর বেশি। দেখা যায়, তিন থেকে চার দিনে জন্ডিস বাড়ে। আবার ছয়-সাত দিনে কমে যায়। সেসব শিশুর এর পরও না কমে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হলে ফটোলাইট দিয়ে চিকিৎসা করি। এর বেশি হলে অনেক সময় রক্ত পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি হয়।

জানেন কি পেঁপে, কলা হতে পারে ন্যাচরাল মেল কন্ট্রাসেপটিভ?

মেল কন্ট্রেসেপটিভ নিয়ে এখনও আমাদের নাক সিঁটকোনর শেষ নেই। ছেলেদের আবার কন্ট্রেসেপটিভের কী দরকার? বরং চিরকালই কী খেলে বীর্যের ক্ষমতা বাড়ানো যায় তাই নিয়ে মাথা ঘামানো হয়েছে। তবে আধুনিক জীবনে পরিকল্পনা ছাড়া প্রেগন্যান্সি যেখানে ঝড়ের সমান, সেখানে সাবধান থাকতে জেনে নিন কিছু ন্যাচরাল কন্ট্রাসেপটিভের খবর।
বীর্যের ক্ষমতা কমাতে পেঁপের বীজ ব্যাবহারের ইতিহাস বেশ পুরনো। পেঁপের বীজে থাকা প্রচুর পরিমাণ উত্‌সেচকের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ন্যাচাল কন্ট্রাসেপটিভ হিসেবে কাজ করে। বাড়িতে বানিয়ে নিন পেঁপে, কলার মিশ্রণে ন্যাচরাল কন্ট্রেসেপটিভ।

কী কী লাগবে-
পেঁপে- অর্ধেকটা
কলা- দু’-তিনটে
পেঁপের বীজ- ২০ থেকে ৪০টা
গরম জল

কীভাবে বানাবেন-
পেঁপে, কলা ও পেঁপের বীজ এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। মিষ্টি করতে চাইলে অল্প চিনি মিশিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে অন্য ফলও মেশাতে পারেন।

যখন সন্তান চাইছেন না সেই সময় মাসে অন্তত ২১ দিন এই মিশ্রণ খান। সন্তান চাইলে এই মিশ্রণ খাওয়া বন্ধ করে দিন। 

আমাশয়-কি-দীর্ঘমেয়াদি-হয়


আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। আজ এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২১৯৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশে সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরি।
প্রশ্ন : ডিসেন্ট্রি বা আমাশয় অত্যন্ত প্রচলিত একটি রোগ। এ রোগের আক্রান্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কারো কারো বেলায় দীর্ঘ মেয়াদি হয়। কেউ কেউ মনে করে তার সারাজীবন ধরেই আমাশয় হচ্ছে। আমাশয়ের কারণ কী?
উত্তর : আমাশয় খুব প্রচলিত একটি  রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এক ধরনের লোক আছে যারা এসে বলে, ‘আমার ক্রনিক ডিসেন্ট্রি। ১০ বছরের বা ১২ বছরের ডিসেন্ট্রি।’
প্রথমে বলি, আমাশয় কী? যদি আপনার বারবার পায়খানা হয়। পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত বা মিউকাস যায়, তখন আমরা একে বলি আমাশয়। আমাশয় প্রধানত দুই ধরনের। একটি হলো এমোয়েবিক ডিসেনট্রি। আরেকটি হলো বেসিললারিক ডিসেনট্রি। তবে এই আমাশয়গুলো দীর্ঘমেয়াদি নয়। এগুলো  স্বল্প মেয়াদির আমাশয়। তিন থেকে সাতদিনের। চিকিৎসা না করা হলেও চলে যেতে পারে। তবে জোড়ালোভাবে যদি আক্রান্ত হয় রোগী তাহলে চিকিৎসা করা দরকার এবং পাঁচ থেকে সাতদিনের ভেতর ভালো হয়ে যাবে।
তবে আরেক ধরনের মানুষ আছে আমাদের দেশে। যারা বলে, ‘আমার তো ক্রনিক ডিসেনট্রি।’ যদি বলি, ক্রনিক ডিসেনট্রি বুঝলেন কীভাবে? বলবে, ‘আমার মলের সাথে সবসময় মিউকাস যায়, আম যায়। পেটে ব্যথা থাকে। আসলে সেগুলো আমাশয় নয়।
প্রশ্ন : তাহলে সেগুলো কী?
উত্তর : আরেকটি রোগ রয়েছে যেটি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। এটিকে বলা হয় আইবিএস। ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম। এটা নারিভুড়ির এক ধরনের ফাংশনাল রোগ। ফাংশনাল রোগ এই জন্য বলছি যে, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের জীবাণু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের প্যাথলজি পাওয়া যাবে না। যদি প্যাথলজি পাওয়া না যায় একে আমরা বলি ফাংশনাল রোগ। এই রোগের একটি প্রকৃতি হচ্ছে মাঝেমধ্যে মলের সাথে আম যাওয়া। এটি আইবিএসেরই একটি লক্ষণ। এটি আমাশয় নয়।
প্রশ্ন : আমাশয়ে যখন রক্ত যায় এবং প্রচণ্ড পেটের ব্যথা হয় তখন করণীয় কী?
উত্তর : এমোয়েবিক আমাশয় থেকে বেসিললারিক আমাশয় জোড়ালোভাবে হয়। এতে মলের সাথে আম এবং প্রচুর পরিমাণ রক্ত যাবে। পেটে ব্যথা থাকবে, পায়খানা হবে। আবার অনেক সময় পেটে ব্যথায়ই হবে তবে পায়খানা হবে না। অনেক সময় দেখা যাবে রোগীর সিস্টেমিক অন্যান্য রোগের অভিযোগগুলো চলে আসে। যেহেতু আপনি বারবার মল ত্যাগ করছেন, বারবার শরীর থেকে পানীয় বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই ফ্লুইড দিতে হবে, এটা হচ্ছে এক নম্বর। আর দুই নম্বর হলো, পায়খানাকে কালচার সেনসিটিভিটি করে যেভাবে রিপোর্ট আসে, ওইভাবে তার অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে।
অথবা যেখানে কালচার সেনসিটিভিটি করার সামর্থ নেই বা রিপোর্ট পেতে রোগীর দুই তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে, এতে করে রোগী মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে, তখন অনুসন্ধান ছাড়া যেই চিকিৎসা আছে, সেটা তাকে দিতে হবে। মূলত আমাশয়ের যে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক সেটা তাকে দিতে হবে। এতে ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ হবে।
প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যেটা দেখা যায়, আমাশয় হলে মেট্রোনিডাজল ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক নিজে নিজে কেউ কেউ শুরু করেন এবং দুই একদিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেলে কোনো কোর্সও সম্পন্ন করেন না। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
উত্তর : যদি আপনার এমোয়েবিক আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে ম্যাট্রোনিডাজল পছন্দের ওষুধ হতে পারে। বেসিললারিক ডিসেন্ট্রির সাথে এমোয়েবিক ডিসেন্ট্রি কখনো কখনো একত্রে থাকে। এই মিশ্র আমাশয় থাকলে এমোয়েবিক অংশটি মেট্রোনিডাজলে কাজ করবে।
মেট্রোনিডাজল নিজস্ব রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে বাউয়েলকে শক্ত করে দিতে পারে। অনেক সময় আমাশয় না হয়ে অন্য কিছু হলো মেট্রোনিডাজল তার পায়খানা শক্ত করে দেওয়ার গুণ দিয়ে বাউয়েল মুভমেন্ট বন্ধ করে দিল। রোগী ভাবল, আমার তো ভালো হয়ে গেছে। যেটা অনেক সময় আইবিএসের বেলায় হয়ে থাকে। তবে কয়েকদিন পর আবার একই রকম হয়ে যায়।
প্রশ্ন : অনেকে যে এক-দুইদিন খেয়ে ওষুধ বন্ধ করে দেন, এ বিষয়ে কিছু বলুন?
উত্তর : সঠিক ব্যবহার, সঠিক ডোজ, সঠিক সময় মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এই তিনটি  মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। অন্যথায় অ্যান্টিবায়োটিকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, রেজিসটেন্স সৃষ্টি হবে। যেখানে যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন সেটা দিতে হবে। যেই পরিমাণে দরকার, সেই পরিমাণে দিতে হবে। যেই স্থিতিকাল ধরে দরকার, সেটি দিতে হবে।
প্রশ্ন : আইবিএস রোগীরা তো দীর্ঘদিন ধরে ভোগে। এর কি কোনো সমাধান নেই?
উত্তর : ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রমকে আইবিএস বলে। এই রোগটি পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্তের ফাংশনাল রোগ। এটি কোনো অঙ্গপ্রতঙ্গের রোগ নয়। প্যাথোলজি করে কিছু পাওয়া যাবে না। এটি কোনো জীবাণু ঘটিত রোগ নয়। এটি হলো ফাংশনাল রোগ। এর অর্থ পাকস্থলি ও নারিভুড়ির যে কর্মগতি সেই গতিতে একটু পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন এলে ওই লক্ষণ মিলিয়ে যে রোগটি হয়, একে আমরা আইবিএস বলি। যেমন নারিভুড়ির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নড়াচড়া। এই নড়াচড়া যদি বেড়ে যায় তাহলে পাতলা পায়খানা হবে। কয়েক ধরনের মুভমেন্ট বা নড়াচড়া আছে। ২৪ ঘণ্টায় একটি বড় নড়াচড়া হয়। ওই বড় নড়াচড়াটি যদি ঠিকভাবে না হয়, তাহলে হয়তো মল ত্যাগে সমস্যা হবে। অথবা পাকস্থলিতে যদি সমস্যা হয়, তখন গ্যাস জমা হওয়ার একটি ভাব আসবে। আবার নাড়িভুড়ির মাংসপেশিতে সমস্যা  হয়ে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা পেট ফোলাভাব, পাতালা পায়খানা সব মিলিয়ে আমরা বলি ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম, আইবিএস।
প্রশ্ন : এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় কী?
উত্তর : যার আইবিএস রোগটি রয়েছে সে সবসময় হয়তো ওই রোগে ভুগবে না। জীবনে কোনো কোনো সময় সে এই লক্ষণগুলোতে ভুগবে। কোনো কোনো খাদ্যাভ্যাসের ফলে এই ভোগান্তি হয়। যে কারণে ভুগবে ওই কারণগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, সে ভারি খাবার খাওয়ার কারণে ভোগে। তখন ভারি খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় দুধ খেলে বাড়ে, সেটি কমিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় শাকসবজি, সালাদ এগুলো খেলে সমস্যা হয়। এগুলো খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি হলেও এই সমস্যা হতে পারে। এগুলো কমাতে হবে।
আর কী কারণে ভুগছে এটি বুঝে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। পাতলা পায়খানা হলে, সেটি না হওয়ার জন্য যেই ওষুধ সেটি দিতে হবে, স্বল্পকালীনভাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেই জন্য স্বল্পকালীন ওষুধ দিতে হবে। গ্যাস হলে ওষুধ দিতে হবে। আর নড়াচড়াকে স্বাভাবিক করার জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে সেটি চিকিৎসকরা বুঝে-শুনে দেবেন ।
একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে কেন আসে? আমি চিন্তা করে দেখেছি রোগী চিকিৎসকের কাছে আসে তিনটি কারণে। প্রথম হলো, রোগী ভাবে আমার যে রোগটি হলো এ রোগে আমি মরে যাব কি না? দ্বিতীয়, আমার যে রোগটি হলো এতে আমি অথর্বে পরিণত হব কি না? তৃতীয়, এই রোগ আমাকে ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে। এই ভোগান্তি থেকে আমি মুক্তি পাব কি না?  আনন্দের কথা হচ্ছে, আইবিএস রোগটি আপনাকে মৃত্যুর মুখে ফেলবে না। এই রোগের কারণে সাধারণত মানুষ মরবে না। এই রোগে বিছানায় পড়ে যাবে না। তবে মাঝেমধ্যে ভুগবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আরেকটি হলো ওই রোগ নিয়ে রোগীর বেশি ভাবতে নেই। রোগ যদি আপনি সবসময় স্মরণ করেন, রোগও আপনাকে বারবার স্মরণ করবে।

বোকা বনবেন না, চিনে নিন নকল হাসি

হাসি তো ফাসি। আপনি ফেঁসেছেন কত বার? মিষ্টি করে দেঁতো হাসি হেসেছেন কেউ। তাতেই আপনি গলে জল। তত ক্ষণে সে আপনাকে বোকা বানিয়ে দিয়েছে চম্পট। যত ক্ষণে আপনার টনক করেছে তত ক্ষণে হাত কামড়ানো ছাড়া উপায় নেই। নকল হাসির বাউন্সের পুরো ক্লিন বোল্ড আপনি। কীভাবে বুঝবেন কোন হাসি আসল আর কোনটা নকল? ঠকবেন না। শুধু খেয়াল রাখুন তিনটে ছোট্ট জিনিস-
১। চোখ বুজে আসা- হাসলে অনেকের চোখ বুজে আসে। তবে পুরো বন্ধ না হলেও সকলেরই চোখ কিন্তু ছোট হয়ে আসবেই বা কিছুটা বুজে আসবেই। যদি দেখেন সামনের মানুষটা হাসছেন অথচ ড্যাবড্যাব করে দু’চোখ খুলে তাকিয়ে রয়েছেন তাহলে বুঝতে হবে হাসি কিন্তু নকল।
২। চোখের কাছে ভাঁজ- শুধু দাঁত দেখা গেলেই কিন্তু হাসি হয় না। সামনের জন খুশি কিনা তা আসল বোঝা যায় চোখে দেখে। কেউ যদি আপনার কথা শুনে জোরে জোরে হাসেন অথচ চোখে তার কোনও প্রভাব না পড়ে তাহলেই বুঝবেন তিনি মোটেও খুশি নন। হাসতে হাসতে চোখের কোলে ভাঁজ পড়লে, চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলে বা চোখে জল এলে বুঝবেন তিনি সত্যিই খুশি হয়েছেন।
৩। নীচের পাটি দেখা যাওয়া- হাসলে সাধারণত আমাদের শুধু দাঁতের উপরের পাটি দেখা যায়। যদি হাসলে কারও নীচের পাটির দাঁত দেখা যায় তাহলে বুঝবেন হাসি নকল। অনেক সময় মুখের পেশির গঠনের কারণে অনেকের হাসলে দাঁতের নীচের পাটি বেরিয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে জোর দিন উপরের দু’টো লক্ষণের ওপর।